তথ্যপ্রযুক্তির চমক নিয়ে জার্মানিতে শুরু হয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বড়
তথ্যপ্রযুক্তি মেলা ‘সিবিট ২০১৩’। সারা বিশ্বের তথ্যপ্রযুক্তির সর্বশেষ
উন্নতি ও অবস্থা মূল্যায়নের জন্য এই মেলা সবার আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে
থাকে। এবারের মেলার মূল প্রতিপাদ্য হলো শেয়ার ইকোনমি, অর্থাৎ
তথ্যপ্রযুক্তিতে সফটওয়্যার বা নানা ধরনের ডেটা ভাড়া বা ভাগাভাগি করে
সাশ্রয়ী পন্থায় প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করা।
গত মঙ্গলবার হ্যানোভারে পাঁচ দিনের এই মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জার্মান
চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মেরকেল বলেছেন তথ্যপ্রযুক্তির প্রসার পৃথিবীব্যাপী
মানুষের কল্যাণে ও ব্যবহারের সুবিধার্থে সব দেশের সরকার ও রাজনীতিবিদদের
সচেতন হতে হবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এবারের মেলার সহযোগী দেশ পোল্যান্ডের
প্রধানমন্ত্রী ডোনাল্ড টুস্ক উপস্থিত ছিলেন। এবারের মেলায় ৭০টি দেশের
ছোট-বড় মোট চার হাজার ১০০ তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে।
২৪০ হাজার বর্গমিটার জায়গাজুড়ে হ্যানোভারের সিবিট মেলা প্রাঙ্গণে ২৮টি
বিশাল হলে তথ্যব্যবস্থাপনা, ইন্টারনেটে নিরাপত্তা, এবং ক্লাউড কম্পিউটিংয়ের
উন্নয়ন ও তথ্য প্রদর্শিত হবে। এ ছাড়া তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক নানা সেমিনার,
আলোচনা, চাকরির ক্ষেত্র, ব্যবসায়িক আদান-প্রদান হবে এই মেলায়।
এবারের মেলায় বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর প্যাভিলিয়নসহ
নেদারল্যান্ডসের সেন্টার ফর দ্য প্রমোশন অব ইমপোর্টস ফর ডেভেলপিং কান্ট্রিস
বা সিবিআইয়ের অধীন এবং সুইজারল্যান্ডের ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড সেন্টারের
অধীন বাংলাদেশের বেশ কিছু তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে। মেলায়
বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর প্যাভিলিয়নে আসা সাতটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে
পাঁচটি প্রতিষ্ঠানই এবার প্রথমবারের মতো মেলায় এসেছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর
পক্ষে আসা ইমরানা খান ও রিজওয়ানা খান জানালেন বিশ্বের এই সর্ববৃহৎ মেলায়
প্রথমবার এসে আকাশকুসুম কিছু আশা করছেন না। তবে ব্যবসায়িক যোগাযোগ ও
এখানকার অভিজ্ঞতা প্রযুক্তি ব্যবসায় কাজে লাগাতে চান বলে জানালেন। মেলায় ৬
নম্বর হলের অনুপযোগী জায়গায় রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর স্বল্পপরিসরের খুব
সাদামাটা প্যাভিলিয়ন। সাতটি প্রতিষ্ঠানের অনেকেই এ ধরনের বিশ্ব মেলায়
বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর প্যাভিলিয়নের মান নিয়ে প্রশ্ন করেছেন।
সিবিআইয়ের অধীনে বাংলাদেশ থেকে এসেছে দুটি প্রতিষ্ঠান। তাদের মধ্যে লিডস
সফট বাংলাদেশ লিমিটেডের শেখ শাহীদদের প্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন থেকে এই মেলায়
আসছে। তিনি বললেন, ধৈর্য ধরে নিয়মিত এই মেলায় উপস্থিত থাকলে অবশ্যই
তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবসায় এগিয়ে যাওয়া সম্ভব। সুইজারল্যান্ডের ইন্টারন্যাশনাল
ট্রেড সেন্টারের অধীন এনটিএফ-২ প্রোগ্রামের অধীনে বাংলাদেশের ১০টি
প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে। তাদের একজন বিমল বণিক গতবারের মেলার অভিজ্ঞতা থেকে
জানালেন, তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে যোগাযোগ ও ব্যবসার ক্ষেত্রে এই মেলার বিকল্প
নেই।
মেলার উদ্যোক্তারা বলছেন এই মেলায়, সারা বিশ্ব থেকে সব মিলিয়ে প্রায় তিন
লাখ মানুষের সমাগম হবে। ৯ মার্চ শেষ হবে এ মেলা।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
BOUNDOLA.COM ( 2010-2013). Powered by Blogger.
0 comments:
Post a Comment