অনলাইন মার্কেটপ্লেস ইল্যান্সে ঘরে বসেই কাজের সুযোগ রয়েছে। বাণিজ্য
বিভাগের শিক্ষার্থীরাও তাঁদের কাজের দক্ষতা দেখিয়ে ইল্যান্স থেকে কাজ পেতে
পারেন।ইল্যান্সের কান্ট্রি ম্যানেজার সাইদুর মামুন খান জানান, ইল্যান্সে বাণিজ্য বিভাগের শিক্ষার্থীদের ভালো করার সুযোগ রয়েছে। ফাইন্যান্স. মার্কেটিং, ব্যবসা পরিকল্পনাসহ নানা কাজে বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সাররা ভালো করছেন। বর্তমানে ইল্যান্সে বাংলাদেশের প্রায় পাঁচ হাজার ফ্রিল্যান্সার এই বাণিজ্যসংক্রান্ত ক্ষেত্রে কাজ করছেন। চলতি বছরের শেষ নাগাদ এ সংখ্যা আরও বাড়বে।
সাইদুর মামুন খান প্রথম আলো ডটকমকে জানান, ইল্যান্স মার্কেটপ্লেসে চলতি বছরেই ফ্রিল্যান্সার সংখ্যার হিসাবে পঞ্চম স্থানে পৌঁছে যেতে পারে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সাররা গড়ে আট ডলার আয় করছেন। তবে ব্যবস্থাপনা, ফাইন্যান্স ও সেলস মার্কেটিংয়ে গড়ে ঘণ্টাপ্রতি প্রায় ১৫ ডলার করে আয় করছেন বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সাররা। এ ক্ষেত্রে দক্ষ উত্সাহীরা কাজ করতে পারেন। তাঁদের উত্সাহ ও প্রশিক্ষণ দিতে ইল্যান্স কাজ করবে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ থেকে ইল্যান্সে সেলস অ্যান্ড মার্কেটিংয়ের কাজ করে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত আয় করেছেন ঢাকার একজন ফ্রিল্যান্সার। ২০১২ সালে তিনি ১৮ হাজার ৫০০ ডলার ব্যক্তিগত আয় করেছেন। একইভাবে দলবদ্ধ হয়ে ব্যবসা ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন কাজ করছে ঢাকার কয়েকজন ফ্রিল্যান্সার, যাঁরা প্রায় ১২ হাজার ডলার আয় করেছেন।
বর্তমানে বাংলাদেশের ৩৩ হাজারের বেশি ফ্রিল্যান্সার শুধু ইল্যান্সে কাজ করছেন।
নতুন ফ্রিল্যান্সারদের দক্ষতা বাড়াতে দেশব্যাপী প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা উন্নয়নে নানা কর্মসূচি নিয়েছে ইল্যান্স কর্তৃপক্ষ। সম্প্রতি ওয়েব ক্যারিয়ার প্রশিক্ষণবিষয়ক প্রতিষ্ঠান ডেভসটিমের সঙ্গে চুক্তি করেছে ইল্যান্স। বিভিন্ন ক্ষেত্রে ফ্রিল্যান্সারদের সচেতনতা বাড়াতে, তাঁদের উত্সাহ দিতে ও দক্ষতা উন্নয়নে দুটি প্রতিষ্ঠান কাজ করবে।
সাইদুর মামুন খান জানান, ফ্রিল্যান্সারদের বাজার হিসেবে বাংলাদেশকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে ইল্যান্স। যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়ার বায়াররা বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সারদের কাজে সন্তুষ্ট। তাই দক্ষ ফ্রিল্যান্সার নারী-পুরুষের জন্য ইল্যান্সে কাজ করা একটা বড় সুযোগ হতে পারে।

0 comments:
Post a Comment